মৌর্য সাম্রাজ্য

মৌর্য সাম্রাজ্য 



1) মৌর্য বংশের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজাঃ-

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যঃ- (321 BC -298 BC)
 বিন্দুসারঃ- (298 BC - 272 BC)
 অশোকঃ- (272 BC - 232 BC)

2) মৌর্য বংশের আরো কয়েকজন রাজা হলেনঃ-

  দশরথ  - (232 BC - 224 BC)
 সম্প্রীতি  - (225 BC - 215 BC)
 শালিশুক - (215 BC - 202 BC)
 দেববর্মন - (202 BC - 195 BC)
 বৃহদ্রথ - (195 BC -187/185 BC)

3) মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি - দক্ষিণ কর্ণাটক বাদে সমগ্র ভারত।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য


4)নন্দ বংশের শেষ রাজা ধননন্দ কে উৎখাত করে চন্দ্রগুপ্ত কে সিংহাসনে বসতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন অর্থশাস্ত্র রচয়িতা কৌটিল্য বা চাণক্য বা  বিষ্ণুগুপ্ত।

5) পুরানে চন্দ্রগুপ্ত কে শূদ্র বংশোদ্ভূত  বলা হয়েছে।

6) মগদের যে রাজা সর্বপ্রথম দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ জয় করেছিলেন - মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
7) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মা মুরা ছিলেন নন্দ রাজার দাসী।

8) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় মগধের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র।


9) ডঃ হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী মতে চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন ভারতের সর্ব প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট।
10) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জৈন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

11)  খ্রিষ্টপূর্ব 305 অব্দে গ্রিকরাজ সেলুকাসের  সঙ্গে যুদ্ধে চন্দ্রগুপ্ত জয়ী হয়ে গ্রিকদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

12) চন্দ্রগুপ্ত মসজিদ শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায় মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে

13) মেগাস্থিনিস ছিলেন গ্রিকরাজ সেলুকাস নিকেটর প্রেরিত দূত   যিনি চন্দ্রগুপ্তের সময় ভারতে এসেছিলেন।


বিন্দুসার


14) বিন্দুসার ছিলেন অশোকের পিতা এবং চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পুত্র।


15) বিন্দুসারের উপাধি ছিল 'অমিত্রাঘাত'। যার অর্থ হলো 'শত্রু হননকারী'।

16) বিন্দুসারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাল্লাতাবা।


অশোক


17) অশোকের মায়ের নাম ছিল শুভদ্রাঙ্গি।


18)  মাস্কি  ও গুর্জর লিপি থেকে  জানা যায় তিনি নিজেকে দেবনাম প্রিয়  প্রিয়দর্শী রাজা নামে উল্লেখ  করেছিলেন।


19) দেবনাম প্রিয় কথার অর্থ হল দেবতাদের প্রিয় এবং প্রিয়দর্শী কথার অর্থ হল সুন্দর দেখতে।
20) খ্রিস্টপূর্ব 260 অব্দে(  মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব 261 অব্দে)  তিনি কলিঙ্গ যুদ্ধে  জয় লাভ করেছিলেন


21) বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের আগে তিনি শিবের ভক্ত ছিলেন।

22) বিন্দুসারের রাজত্বকালে অশোক  উজ্জয়নীর প্রশাসক  ছিলেন।

23) তিনি উপ গুপ্তের কাছে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেন।

25) শোন ও উত্তর নামে তার দুই ধর্ম দূত কে  বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মদেশ পাঠিয়েছেন।

 24) অশোক তাঁর পুত্র মহেন্দ্র কে সিলনে (বর্তমান শ্রীলংকা তে ) পাঠিয়েছিলেন।


26) অশোকের লেখমালা গুলি ব্রাহ্মী ও খরোষ্টি উভয়  লিপিতেই লেখা হলেও তার বেশিরভাগ লেখমালা ছিল  ব্রাহ্মী লিপিতে( এবং প্রাকৃৃত ভাষায়) লেখা।

27) বলখ অঞ্চলের প্রজাদের সুবিধার্থে তিনি গ্রিক ভাষা ও লিপি ব্যবহার করেন।

28) লিপি নিয়ে কাজ করাকে  বলা হয় epigraphy(লিপি উৎকরণ বিদ্যা)।

29) অশোক তার সন্তান তুল্য প্রজাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন জনহিতকর কাজ করেছিলেন,যেমন  -
 কূপ খনন, ছায়া প্রদানের জন্য রাস্তার দুই ধারে বৃক্ষ রোপন,আম্রকুঞ্জ স্থাপন, অপরাধীদের শাস্তির পরিমাণ লাঘব,পশু চিকিৎসার  ব্যবস্থা ইত্যাদি।


30) আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 187 (মতান্তরে 185 BC)মৌর্য সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বৃৃহদথ কে হত্যা করে পুষ্যমিত্র  শুঙ্গ সিংহাসন এ বসেন।


31) মৌর্য সাম্রাজ্য সম্পর্কে জানতে যেসব উপাদান গুলি আমাদের বিশেষভাবে সাহায্য করে -

সাহিত্যিক উপাদান হিসেবে -    কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা, বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস,সোমদেব ভট্টের কথাসরিৎসাগর, এছাড়া বিভিন্ন পুরান,বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মগ্রন্থ প্রভৃৃতি
 এবং প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান হিসেবে-     অশোকের শিলালিপি স্তম্ভলিপি,  কলিঙ্গরাজ খারবেল এর হাতিগুম্ফা লিপি,  শক ক্ষত্রপ ও রুদ্রদমন এর  জুনাগড়  লেখ প্রভৃতি।

৩২) অশোকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার করে-জেমস প্রিন্সেপ 
         






 
 


                  














                        





                 
























 

No comments:

Post a Comment